‘করো না’ ই করোনার মহৌষধ!

আলমগীর মাহমুদ ◑

শুণ্যস্থান পূরন হবার, শূণ্যতা নয়। পৃথিবীবাসীকে শূণ্যস্থান ও শূণ্যতা উপহার দিয়ে যে হিটলারকেও লজ্জায় ফেলেছে সেইই করোনা ভাইরাস।

জ্ঞানবিজ্ঞানের আবিস্কারে পৃথিবীবাসীর মনে জমেছিল খানিক গর্ব “কিছুই অজেয় নয় আমাদের’! এই ভাবনায় আত্মহংকারে ভেবেছে তারাই পৃথিবীর মালিক, কর্ণধার।
ধরারে করেনি সরাজ্ঞান মোড়ল আর মোড়লীপনায়।

তারা প্রতিপক্ষ ঘায়েল করতে নেমেছিল প্রতিযোগিতায়। আণবিক বোমা , জীবাণু অস্ত্রের মত মারনাস্ত্রের মজুদে । ক্ষুধার্তের ডাক, নির্যাতিতের কান্নার আওয়াজ পৌঁছায়নি তাদের কানে।

ফিলিস্তিন, কাশ্মীর, রোয়াইঙ্গা, কুর্দী, আফ্রিকায় গনহত্যা, তুতসিদের আর্তনাদ চিড় ধরাতে পারেনি তাঁদের বুকে। তাই তারা ভেবেছে শুধু ধ্বংস লীলার সরঞ্জামে গোলাবারুদের গোপন কারখানার কথা।

বিশ্বমোড়ল চীন লাভের নেশায় কৃত্রিম ডিম থেকে , প্লাষ্টিকের চাউলের মত জীবনসংহারী প্রোডাকশনে পৃথিবীবাসীকে করেছে নির্মম নির্যাতন। তাদের এমন কৌশলে আমাদের বুক ভারী হয়েছে শুধু।

দুখের বোঝা হালকায় আকাশের দিকে তাঁকিয়ে নীরবে দূ’চার কথা বলা ছাড়া উপায় ছিল না আমাদের।

ফিলিস্তিনির জীবন যাত্রা সুখ দুখ স্বস্তির কর্ণধার বনে আরেক মোড়লতো হোলি খেলার সমর্থক বনে তালিয়া বাজাচ্ছে চলিশ বছরেরও বেশী সময়।

অন্যসব মোড়ল দেশগুলো সত্যে শক্তিমান না হয়ে , অধিক মোড়লদের সমজদারীতে মন যুগিয়ে সুন্দর সাম্যের পৃথিবীকে বানিয়েছে বৈষম্যের কীর্তনখোলা!

দাম্ভিকতায় এইসব মোড়লেরা সাঁজানো প্রকৃতিকে অলিখিত জানান দিয়েছিল “আমরা ছাড়া কে আর “!

প্রকৃতির প্রতিশোধ বলে কথা। যাহ ১৭২০ সালে ১৮২০ সালে ১৯২০ সালে কলেরা, প্লেগ, ইবুলা, সার্স হয়ে এসেছিল ২০২০ সালে এসেছে করোনা ভাইরাস হয়ে।

এ যাবৎ কালের ভয়াবহতম মহামারি। চীন দিয়ে শুরু উত্তর দক্ষিন পূর্ব পশ্চিম দাবিয়ে বেড়াচ্ছে চেঙ্গিসখানের ধ্বংসলীলাকে হার মানিয়ে । কলিঙ্গযুদ্ধের ভয়াবহতাকে লজ্জায় ফেলে!

আমেরিকা, ইটালী, ষ্পেন, চীন পৃথিবীর সব বৈষম্য লালনকারীদের জানান দিল ” তোরা যাহ ভাবশিস ”ভুল সবই ভুল,!

তোরা যুদ্ধ সরঞ্জাম বানিয়েছিস ভাইরাসের কথা ভাবিসই নি! জ্ঞান বিজ্ঞানে সর্বতো অর্জনে ভাবশিস ” আমাদের সাথে কে?.

.. তোরা একটা ভাইরাসের ঔষধ আবিস্কারের শক্তিই রাখিসনি! আমি তোদের জানান দিয়ে গেলাম “তোরা পৃথিবীর ব্যবহার কারী, মালীক নয়” !
আমার নামেই আছে আমার ঔষধ “করো না” না করলেই আমি করোনার মৃত্যু এর আগে নয়!”

চলবে ….

লেখকঃ–বিভাগীয় প্রধান (সমাজবিজ্ঞান বিভাগ) উখিয়া কলেজ, কক্সবাজার।
ইমেইল – alamgir83cox@gmail. Com